মোঃ বাবর আলী, কালিয়া, নড়াইলঃ
নড়াইলের কালিয়ায় শিকদার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট করে ক্লিনিকটির দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১১ তারিখে Asma Akther Rotna নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত শিকদার ক্লিনিক এর নাম ব্যবহার করে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন।
উক্ত facebook পোস্টে লেখা ছিল “আমি বেসরকারি ক্লিনিক শিকদার ক্লিনিকে রিসিপশনের দায়িত্বে আছি। কালিয়া বাজার কালিয়া। যে কেউ অসুস্থ হলেই চলে আসবেন আমাদের ক্লিনিকে, রোগীর সর্ব প্রকারের সেবাই আমাদের কাম্য ও একমাত্র লক্ষ। আসার সময় আমার ফ্রি আনতে ভুলবেন না যেন আমার ফ্রি ঘণ্টায় দুই হাজার টাকা”
উক্ত ফেসবুক পোস্টে যোগাযোগের জন্য দুটি মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করেন।
উক্ত ফেসবুক পোস্টের পর থেকে ক্লিনিকটির মালিক জিয়াউর রহমানের কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি ফোন দিয়ে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন বলে তাদেরকে জানান।
পরবর্তীতে ফেসবুক পোস্টটি দেখতে পেয়ে কালিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্লিনিকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান।
এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান আরো বলেন, দীর্ঘ এক যুগ ধরে সুনামের সহিত কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে আমি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
কিন্তু গত দুদিন যাবৎ একটি ফেসবুক পোস্ট এর কারণে আমার ক্লিনিকের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে উক্ত ফেসবুক পোস্টে দেওয়া নাম্বার যোগাযোগ করলে ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দাবি অস্বীকার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে অন্য একটি ব্যক্তি ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করেন।
উক্ত ব্যক্তি আরও দাবি করে বলেন, যাহারা আমার ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাহারা এই ছবি ফেসবুকে না ছাড়ার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এ বিষয়ে আমি একটি সাধারণ দায়ের করেছি।
সাধারণ ডায়রির প্রসঙ্গে কালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সিকদার ক্লিনিক মালিক একটি ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছে। সাধারণ ডায়েরি নাম্বার ৬২৪, তারিখ ১৪/০৯/২০২৫।
বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।