রোববার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। প্রায় ১০ ঘণ্টার যাত্রা শেষে সোমবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখানে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর একই ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগর সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, শাহজালাল ও শাহপরান (রহ.)-এর পূণ্যভূমিতে আমাদের নেত্রী পা রাখবেন, এ ভাবনাতেই সিলেটের নেতাকর্মীরা আবেগে আপ্লুত। তবে নেত্রীর সঙ্গে দেখা হবে কি না, তা নির্ভর করছে তার অনুমতির ওপর।
তারা জানান, ওসমানি বিমানবন্দরের বাইরে মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন এবং নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে গুলশানে তার কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর যৌথ সভা আহ্বান করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের টারমাকে মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশ্যে গাড়িবহর রওয়ানা হলে পথে বিমানবন্দর মোড় থেকে গুলশান পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা ও অভ্যর্থনার সমন্বয় করছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একেএম শামসুল ইসলাম শামস। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।