নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চাকুলিয়া ও মশাখালী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মশাখালী ব্রিজের উত্তর পাশে এই সংঘর্ষ শুরু হয়, যা দ্রুতই উত্তাল রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহৃত হয়। এতে দুই দলের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন—নলদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মোহাম্মদ রাব্বি মোল্লা (২৫), আওয়ামী লীগ কর্মী জহুর মোল্লা (৫৫), তবিবর রহমান (৫৩), সুফিয়ান মোল্লা (৪০) সহ আরও অনেকে।
আহত জহুর মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, সম্ভবত এ কারণেই আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে বিএনপির লোকজন হামলা চালিয়েছে।”
অন্যদিকে, ঘটনার ভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, “মূল ঘটনা মশাখালী গ্রামে। আওয়ামী লীগ নেতা জহুর মোল্লা হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। তার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসহ সশস্ত্র দল মশাখালী গ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হন আলমগীর ফকির, সলেমান ফকির, জাহাঙ্গীর ফকির, শাহাদাৎ ফকির ও ওমর ফকির। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় ছাত্র ও সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যার মুখে পড়ে আওয়ামী লীগপন্থী হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে, সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নড়াইলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রধান কার্যলয়ঃ কনফিডেন্স সেন্টার, ভবন-২,
ফ্ল্যাট নং-৭/ই জিপি-খ-৯, প্রগতি স্বরণী, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা-১২১২।
ফোন নম্বরঃ +8809638031309 ই-মেইল:mohammadpurprotidin@gmail.com
@মহম্মদপুর প্রতিদিন