পাঠকডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জোরেশোরে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও অপরাজেয় বাংলার সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
এ সময় তাঁদের হাতে ‘বয়কট ট্রাম্প, সেভ ফিলিস্তিন’, ‘বয়কট ইউএসএ’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করেন একদল তরুণ। মার্কিন দূতাবাসের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিছিলটির সামনে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
সকাল থেকে মার্কিন দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেন সেনা সদস্যরা। তারা সেখানে মানবপ্রাচীর তৈরি করে রাখেন।
রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ চলাকালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফিউল আজম সিফাত প্রথম আলোকে বলে, ‘গাজায় এমন নির্মম গণহত্যার দৃশ্য দেখার পর থেকে আর স্হির থাকতে পারছি না। আজকে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা আমাদের ক্লাস বাতিল করেছি। আমরা ফিলিস্তিনি মানুষের মুক্তি চাই। স্বাধীন ফিলিস্তিন চাই।’
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আট নম্বর গেট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবারও একই জায়গায় এসে শেষ হয়। এতে কয়েক শ শিক্ষার্থী অংশ নেন। মিছিলে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরায়েল’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত-ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইসরায়েল উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ স্লোগান দেওয়া হয়।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা এবং গাজায় গণহত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকার যেন প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়, সেই দাবিও জানাচ্ছি।’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আজমাইন নাফিস বলেন, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আমরা আজকে এখানে একত্রিত হয়েছি। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে নারী-শিশুসহ সেখানকার মানুষদের হত্যা করছে। আমরা তা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ইসরায়েলের সব পণ্য বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।’