পাঠকবার্তা ডেস্ক
রাজনৈতিকভাবে পুলিশকে অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের জন্য কাজ করবে। তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করবে। কিন্তু সরকার কোনো অন্যায় করলে সেই নির্দেশ তারা মানবে না, মানতে বাধ্য নয়।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে রাজারবাগের পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর শেষ দিনে ‘নাগরিক ভাবনায় পুলিশ’ সেশনে এসব মত দেন বিশিষ্টজনরা।
তারা বলেন, পুলিশ কেন সরকারের অন্যায় নির্দেশ মানবে। কেন জনগণের বুকে পিঠে গুলি চালাবে। এসময় তারা পুলিশকে আরও মানবিক, সৎ ও নিষ্ঠাবান হওয়ার অনুরোধও করেন।
এসময় সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন,আমি পুলিশের আইজিপিকে অনুরোধ করব যাদের চাকরীর বয়স দুই বছর আছে এবং যারা বিগত সময়ে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাদেরকে দুই ধাপ পদোন্নতি দিন। যাতে তাদের মূল্যায়ন করা হয়। এছাড়া এসব মানুষ যাতে চাকরী শেষ করে তার প্রাপ্যটা যথা সময়ে পায় তার ব্যবস্থা করুন।
এসময় তিনি পুলিশ সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান।
তার বক্তব্যের আগে সাবেক আইজিপি আব্দুল কায়ুম বলেন, পুলিশকে জনগণের বন্ধু হতে হবে। আরও সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
সাবেক এই আইজিপি আরও বলেন, এত বড় একটা পরিবর্তন হয়ে গেল একটা গণ-অভ্যুত্থান হয়ে গেল। বাচ্চা ছেলেরা তারা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছে, তারা নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়। একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল স্বাধীনতার পর। কিন্তু সঠিকভাবে আমরা এগোতে পারিনি আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
এসময় আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, পুলিশ শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ নয়, সমাজেরও অংশ। যদি পুলিশের সঙ্গে জনতার বিভক্তি তৈরি হয়, তাহলে তা রাষ্ট্র ও সমাজের বিভক্তিতে রূপ নেয়। এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ গণতন্ত্র।
অনুষ্ঠানে সাবেক পুলিশ প্রধানরা বলেন, পুলিশকে স্বাধীনতা দেওয়া হলেও ব্যক্তি স্বার্থে দালালি করেছে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনতার পুলিশ হওয়ার লড়াই পুলিশকেই চালিয়ে যেতে হবে।
এসময় পুলিশের বর্তমান আইজি বাহারুল আলম শক্তি নয় নৈতিকতা বড় অস্ত্র, এই প্রতিশ্রুতিতে এগিয়ে যাওয়ার পথে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগরের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী, এপেক্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির মঞ্জু, কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সায়মা চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ করিম প্রমুখ।