আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥গত চার দিন ধরে দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস। এখনও পুড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। পাঁচটি আলাদা আগুনের ঘটনায় ৩৭ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। পানির তীব্র সংকটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে ফায়ার বিভাগের কর্মীরা।
দাবানলে পুড়ে গেছে ৫৮ মাইলেও বেশি এলাকা। মঙ্গলবার সবচেয়ে বড় দাবানল দেখা যায় প্যারাডাইস প্যালিসেডসে। ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির আলটাডেনায় ইটন ফায়ারে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। পুড়ে গেছে ২১ বর্গমাইলেরও বেশি এলাকা।
এদিকে, লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি থাকায় বিপাকে পড়েছে বাসিন্দারা। প্যাসিফিক প্যালিসেডস এবং মালিবুতে সবচেয়ে বড় দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু করেছেন ফায়ার বিভাগের কর্মীরা। মাত্র আট শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া আলটাডেনা এলাকায় ইটনের আগুন তিন শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার বিভাগের প্রধান জেসন শিলিঙ্গার।
তবে শুরু থেকেই তীব্র দমকা বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার বিভাগের কর্মীদের। কেনো পানি সংকট দেখা দিয়েছে শুক্রবার এ বিষয়ে স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে নগর পরিসেবা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। এ ছাড়া আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হলো তা নিয়ে বাসিন্দারাও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লুটপাট করার কারণে এ পর্যন্ত ২৪ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং লুটপাট ঠেকাতে প্যাসিফিক প্যালিসেড ও ইটন এলাকায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হবে। লুটপাট ঠেকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি কোথাও কোথাও অস্ত্র নিয়ে নিজেদের বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছেন বাসিন্দারা।
এ পরিস্থিতিতে শুধু ফায়ার বিভাগ ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাউকেই চলাচলের অনুমতি দেয়নি লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ। এ ছাড়া যেসব বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছেড়ে গেছেন তাদের এখনই নিজ এলাকায় না ফেরার অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, এই বিপর্যয়কে ‘যুদ্ধ ক্ষেত্র’র সঙ্গে তুলনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। লুটপাটের বিষয়ে বাইডেন বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লুটপাটের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর এজন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এসটি/এমএইচ
প্রধান কার্যলয়ঃ কনফিডেন্স সেন্টার, ভবন-২,
ফ্ল্যাট নং-৭/ই জিপি-খ-৯, প্রগতি স্বরণী, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা-১২১২।
ফোন নম্বরঃ +8809638031309 ই-মেইল:mohammadpurprotidin@gmail.com
@মহম্মদপুর প্রতিদিন