পাঠকবার্তা ডেস্ক
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী যেসব লাইসেন্সধারী অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
এরইমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলা পুলিশ সুপারদের (এসপি) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সরকার আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। পাশাপাশি এসব অস্ত্র জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী সব অস্ত্র জমা পড়েনি।
এমন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৭ মে) পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম পুলিশ সদর দপ্তরে এক বৈঠক থেকে এ নির্দেশনা দেন।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মাঠ পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজিপি। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে দেশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপাররা যুক্ত হন।
বৈঠক সূত্র জানায়, সম্প্রতি পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। টহল কার্যক্রম বা সশস্ত্র অপরাধী, চরমপন্থি ও বিদ্রোহ (ইনসারজেন্সি) প্রবণ এলাকায় পুলিশি কার্যক্রমের সময় অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ অস্ত্র বহন করবে বলেও পুলিশ সদরদপ্তর থেকে মাঠ পুলিশের কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, পুলিশের সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রাধিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত করা আছে। মাঠপর্যায়ে যেকোনো পুলিশি কার্যক্রম যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে, সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অস্ত্রের প্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়।
আইজিপি বলেন, ৫ আগস্ট উত্তর নতুন বাংলাদেশে পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার পর্যালোচনার বিষয়টি শুধু জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অর্থাৎ মিছিল-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের বেলায়ই উঠে এসেছে। মিছিল সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে জীবনবিধ্বংসী মারণাস্ত্র (লেথাল আর্মস) ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা স্বভাবতই প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিষয়টিই বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে টহল কার্যক্রম বা সশস্ত্র অপরাধী, চরমপন্থি ও বিদ্রোহ (ইনসারজেন্সি) প্রবণ এলাকায় পুলিশি কার্যক্রমের সময় অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ অস্ত্র বহন করবে।
বৈঠকে কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন করা, এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে না নেওয়া, হাইওয়ের পাশে পশুরহাট না বসানো, জাল টাকা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মার্কেট ও শপিংমলের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঈদুল আযহা উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
আইজিপির সভাপতিত্বে ওই সভায় পুলিশ সদর দপ্তর অংশে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম, ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. কামরুল আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।