নড়াইল অফিস:
নড়াইলে পৃথক অভিযানে অনুমোদনহীন সয়াবিন তেল উৎপাদন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাবার তৈরির দায়ে অভিযুক্তদের লাখ টাকা জরিমানা এবং কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার দিনব্যাপি চলা পৃথক অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহানুর রহমান সেতু এবং এ বি এম মনোয়ারুল আলম আলাদা এ আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া মোড়ের এ জে কনজ্যুমার প্রোডাক্টস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‘জারা’ ব্রান্ড সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী কাজী জিহাদ উল্লাহ (৪৮) এবং শহরের হাজী বিরিয়ানি হাউজের বাবুর্চি আব্দুর রহমান (২৭)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালায় শহরতলীর পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায়। সেখানে হাজী বিরিয়ানি হাউজে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি, ফ্রিজে পচা বাসি খাবার সংরক্ষণের সত্যতা পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযোগে বাবুর্চি আব্দুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও এক মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক এ বি এম মনোয়ারুল আলম।
এছাড়া, সদরের আউড়িয়া এলাকায় এদিন বিকেলে আরও এক অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। এতে বাজারের নিন্মমানের খোলা তেল ব্যারেল থেকে মেশিনের মাধ্যমে রিফাইন করেই বোতলে ভরে মোড়কজাত করা হয় এ জে কনজ্যুমার প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানে। আর এভাবেই হাজারো বোতল ‘জারা’ ব্রান্ড সয়াবিন তেল নামেই প্রতিদিন বাজারে সরবরাহ করছেন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকার কাজী জিহাদ উল্লাহ। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই তেল উৎপাদন, মোড়কে প্রতারণামূলক তথ্য ও নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে সেটিকে বাজারজাতকরণের প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। নানা অপরাধে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা অর্থদÐ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. সোহানুর রহমান সেতু। পাশাপাশি কাগজপত্রের বৈধতা ব্যতিরেক তেল উৎপাদন ও বাজারজাতে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।
এ অভিযানে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান সহ আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।