নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে আর্থিক অনুদান ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
এই বছরের কৃতী শিক্ষার্থীরা হলেন লগ্ন সাহা প্রমি, রাতুল মন্ডল, অর্ঘ্য বিশ্বাস, মোঃ আরাফাত ইসলাম, সিয়াম মোল্যা, মাহবুব ইবনে হুসাইন এবং অর্পিতা বিশ্বাস। তাদের এই সাফল্যকে উদযাপন করতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
উৎসর্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান তুষার বলেন, “আজকের এ আয়োজন কেবল একটি সংবর্ধনা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সামনে আরও বড় স্বপ্ন দেখতে এবং এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। আমাদের সমাজের প্রকৃত সম্পদ হলো মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তারা যত বেশি আলোকিত হবে, সমাজ তত বেশি সমৃদ্ধ হবে। আমি আশা করি, এই সম্মাননা তাদের দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দেবে এবং ভবিষ্যতে তারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শরিফ মনিরুজ্জামান বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর সাফল্য শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি পরিবার, শিক্ষক ও সমাজের সম্মিলিত সাফল্য। আমরা চাই আমাদের এলাকার প্রতিটি শিশু-শিক্ষার্থী পরিশ্রমী, নৈতিক ও আদর্শবান হয়ে বেড়ে উঠুক। কৃতিত্ব অর্জনকারীরা যেন এখানেই থেমে না যায়, বরং আরও বড় সাফল্যের জন্য আত্মনিয়োগ করে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমেলেন্দ হীরা বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই ভালো ফলাফল করছে, যা আমাদের জন্য গর্বের। তবে শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, ভালো মানুষ হয়ে ওঠাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ নয়, নৈতিকতা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধও শিক্ষার অংশ। উৎসর্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এই অনুপ্রেরণা তাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে কাজে আসবে।”
সংবর্ধনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আবেগঘন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে বলেন, “আজকের এই সম্মাননা আমাদের কঠোর পরিশ্রম ও সাধনার স্বীকৃতি। এটি আমাদের আরও বড় স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, ভবিষ্যতে আরও মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করব এবং সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করব।” আমাদের পরিবার, শিক্ষক ও সমাজের সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এই সংবর্ধনা আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও শক্তিশালী করেছে।”
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং উৎসর্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকরা বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ সন্তানদের অনুপ্রাণিত করে এবং শিক্ষার পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত।”