ভোলা প্রতিনিধি॥ভোলার লালমোহনে যাত্রী ডাকা ডাকি কে, কেন্দ্র করে ক্যাপ্টেন লঞ্চের কেরানি হালিমের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত ক্যাপ্টেন লঞ্চের কেরানি মোঃ হালিম লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি আছেন।
মোঃ হালিম অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা টু লালমোহন গামী এক সময় কোন লঞ্চ ছিল না, যাত্রি কম থাকায়, লোকসান কমাতে অনেক কোম্পানি এই পথ থেকে সরে গিয়েছে। লালমোহনের পুরাতন লঞ্চগুলো, দীর্ঘদিন পর্যন্ত লোকসান দিয়ে হলেও এই রটেশনটি চালু রাখে।
গত ৫ই আগস্ট এর পরে লালমোহন টু ঢাকায় কিছু আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়া দুটি লঞ্চ রোটেশন করার জন্য চেষ্টা চালায়। এরপর থেকেই তারা ঢাকা সদরঘাটে এবং লালমোহন ঘাটে তরঙ্গ -৭এর স্টাফরা যাত্রী ডাকাডাকি নিয়ে প্রায় সময় কথা কাটাকাটি হয়।
এরই সূত্রপাতে বৃহস্পতিবার লালমোহনের সুইজঘাট এলাকায় আমাদের এমভি ক্যাপ্টেন লঞ্চে যাত্রী ডাকাডাকি করতেছি, এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং তরঙ্গ ৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মিসবা, কেরানী জাভেদ, ভাড়াটিয়া মালিক নবী, স্থানীয় আওয়ামী লীগের, আনোয়ার, আলামিন, শফিউল্লাহ নেতৃত্বে আমার উপর হঠাৎ করেই হামলা চালায়।
আমাকে স্থানীয় জনতা না থাকলে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা করে। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে রক্ষা করার আগেই মেজবান নেতৃত্বে আমার মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে।
এরপরে কি হয়েছে আমি আর কিছুই বলতে পারি না পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে ওই সময় আহত হয়েছে ক্যাপ্টেন লঞ্চের আরেক সহকর্মী সাগর।
এই ঘটনা তরঙ্গ-৭ লঞ্চের কেরানি, মোঃ জাভেদ জানান, আমরা তার উপর কোন হামলা করিনি, তাদের লোকজনের হামলায় তারা আহত হয়েছে। এখন আমাদের উপরে মিথ্যা দোষারোপ করছে।
এসটি/এমএইচ